বিশেষ প্রতিবেদক ::
প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে লাখো মানুষের মিলনমেলা বসেছিল কক্সবাজারের চকরিয়ার চিরিঙ্গায় মাতামুহুরী নদীর ব্রিজ পয়েন্টে। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে ঢল নামে সব বয়সী নারী-পুরুষের।
মাতামুহুরী প্রতিমা বিসর্জন কমিটির সদস্যসচিব সুনিল নাথ বলেন, ‘নদীর তীরে প্রতিমা বিসর্জন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দুপুর থেকেই সব বয়সী নারী-পুরুষের ঢল নামে। হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও মুসলমানদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলনমেলায় পরিণত হয়।’
চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেন, মাতামুহুরী নদীর তীরে প্রতিমা বিসর্জনের এই অনুষ্ঠান ঐতিহ্য হয়ে ওঠেছে। প্রতিবছর যাতে এই অনুষ্ঠান চলে সেজন্য সকল ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে।‘
বিকেল পাঁচটায় চকরিয়া মাতামুহুরী প্রতিমা বিসর্জন কমিটির আহবায়ক প্রণব দাশের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব সুনিল নাথের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, চকরিয়া সার্কেলের সি. সহকারি পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুর রশীদ দুলাল, মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, কাকারার চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, ডা. তেজেন্দ্র লাল দে, হারাধন দাশ, যুবকল্যাণ সমিতির সভাপতি ধনরঞ্জন দাশ, মিলন দাশ, সমীর দাশ, সাবেক কাউন্সিলর লক্ষ্মণ দাশ, নিখিল বসাক, সুধাংশু সুশীল, লিটন সুশীল, শ্রীদুল রঞ্জন দাশ, নন্দরাম দাশ, মুকুল কান্তি দাশ, নারায়ণ দাশ প্রমূখ।
পাঠকের মতামত: